চলতি বছরে ২০ হাজারের নিচে সেরা ৫ ফোন; প্রতিটিই মার্কেট কাপানো
পকেটের অবস্থা তেমন একটা ভালো না, তাই না? কোনমতে ২০ হাজার টাকার মত বাজেট করেছেন। তার মধ্যেই একটা ফোন কিনতে হবে। তাও আবার সেরা হতে হবে। চিন্তার কোন কারন নেই, বিশেষ করে আপনার জন্যই এই বছরের ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা পাঁচটি ফোন নিয়ে রিভিউ করব।
প্রত্যেকটা ফোনই পরীক্ষিত এবং আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরাটা দিবে। বিশ হাজারের নিচে সেরা ফোন নিয়ে এই রিভিউ আর্টিকেলটি পুরোটা পড়তে পারলে আপনি চমৎকারভাবে বেস্ট ফোনটাকে আপনার জন্য বাছাই করতে পারবেন।
তাই পুরো রিভিউ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ থাকল। কারণ এখানে ফোন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডকে পাত্তা দেওয়া হয় নি, গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কম দামে কোন কোন সেরা জিনিসটা প্রত্যেকটা ফোন আপনাকে দিচ্ছে সেটি। চলুন শুরু করা যাক। তবে আপনার বাজেট যদি এর চেয়েও কম অর্থাৎ পনের হাজারের আশেপাশে হয় তবে এই আর্টিকেলটি দেখে আসতে পারেন।
তালিকাটি শুরু করার আগে প্রথম যে ফোনটি নিয়ে কথা বলতে চাই সেটি হলো Infinix Hot 60 pro।
1. INFINIX HOT 60 PRO
নামের মধ্যে হট শব্দটা থাকলেও কাজে তেমন হট না, অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ব্যবহারেও গরম হয় না। কুলিং সিস্টেম যথেষ্ট ভালো এবং খুব বেশি হিট জেনারেট করে না। ফোনটির 8/128GB ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাচ্ছে 19,000 টাকার আশেপাশে।
🛒 ফোনটির বর্তমান প্রাইস চেক করুন
চলুন দেখি এই প্রাইসে Infinix Hot 60 pro কি কি অফার করছে-
- 6.8-inch এর AMOLED Panel ডিসপ্লে আছে যা 1.5K FHD+ রেজ্যুলেশনের এবং 144Hz এর হাই রিফ্রেশ রেট। মাত্র উনিশ হাজার টাকার একটা ডিভাইসে এই ধরনের ডিসপ্লে এক কথায় অকল্পনীয়। এমন ডিসপ্লে দেকা যায় সাধারণত ত্রিশ হাজারের বেশি টাকার ফোনে। আবার Peak brightness 4500nits। অর্থাৎ সরাসরি সূর্যের আলোতে বা বাইরে ব্যবহারেও সমস্যা হবে না।
- ফোনটি যথেষ্ট স্লিম এবং IP64 এর প্রোটেকশন রেটিং আছে।
- প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Helio G200। অনেক ফোনেই দীর্ঘ সময় ধরে প্রসেসরটি ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই এটি একটি পরীক্ষিত প্রসেসর।
- 5160mAh এর ব্যাটারি এবং 45W এর ফাস্ট চার্জিং আছে
- ক্যামেরার ক্ষেত্রেও রেজাল্ট যথেষ্ট সন্তোষজনক। রিয়ার ক্যামেরা 50MP এর এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা 13MP এর।
পরিশেষে, নির্দিষ্ট কোন ব্র্যান্ড নিয়ে যদি আপনার এলার্জি না থাকে তবে Infinix এর এই ফোনটা তালিকায় রাখার মতোই বিশেষ করে ডিসপ্লে আর প্রসেসরের জন্য।
এবার আসি তালিকার দ্বিতীয় ফোনে। এই ফোনটা যারা আমার মতো Xiaomi লাভার তাদের জন্য। ফোনটি হলো Redmi 15। শুধু ব্র্যান্ড নয়, স্পেসিফিকেশনস এর দিক থেকেও এটি অন্যতম চয়েস হতে পারে আপনার জন্য।
2. Redmi 15 - আছে Snapdragon প্রসেসর
🛒 ফোনটির বর্তমান প্রাইস চেক করুন
- প্রথমত এর প্রসেসর, Snapdragon 685 থাকছে প্রসেসর হিসেবে, যা 6nm এর একটি 4G প্রসেসর। অর্থাৎ আপনি বিশ হাজারের আশেপাশের প্রাইজে স্ন্যাপড্রাগনের প্রসেসর পেয়ে যাচ্ছেন।
- ফোনের ডিসপ্লেও সুন্দর। FHD+ রেজ্যুলেশনের বিশাল বড় প্যানেল আবার 144Hz এর রিফ্রেশ রেট। তবে এখানে একটা কমতি তারা রেখেছে। ডিসপ্লেটি AMOLED প্যানেল নয়, IPS LCD। কিন্তু এই প্রাইসে In-display ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরসহ AMOLED ডিসপ্লে পাওয়া যায়।
- রয়েছে 7000mAh এর বিশাল ব্যাটারি। মনে হয় ডিসপ্লের কমতি ব্যাটারি দিয়ে পুষিয়ে দিয়েছে। সাথে রয়েছে 33W এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। যারা লং টাইম ব্যাটারি ব্যাকআপ চান তাদের জন্য অন্যতম সেরা চয়েস Redmi 15।
3. iQOO Z10x - বিশ হাজারে 5G প্রসেসর
🛒 ফোনটির বর্তমান প্রাইস চেক করুন
- প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করেছে MediaTek Dimensity 7300। প্রসেসরটি 4nm এবং 5G প্রসেসর। বিশ হাজারে এই লেভেলের প্রসেসর পাওয়া সত্যিই সারপ্রাইজিং।
- অবাক করা ব্যাপার হলো এই ফোনের Storage Type 3.1। এই বাজেটের একটা ফোনে আর কোন ব্র্যান্ডই এত ভালো স্টোরেজ টাইপ দিতে পারে নি। যার ফলে ডাটা ট্রান্সফার রেটেও ফোনটি থেকে যথেষ্ট স্পিড পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ে আপনার ফোনটি যথেষ্ট স্পিড থাকবে।
- ব্যাটারির ক্ষেত্রেও কোন কমতি রাখে নি। iQOO Z10x এ 6500mAh এর ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যাটারি ব্যাকআপ দারুন পাবেন। এক চার্জে প্রায় দেড় দিনের মতো ব্যবহার করা যাবে। সাথে রয়েছে 44W এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
- ডিসপ্লেও 120Hz রিফ্রেশ রেটের। তবে একটা জায়গায় সামান্য কমতি আছে, সেটা হলো এর ডিসপ্লে IPS LCD।
4. Itel Super 26 Ultra - ডিসপ্লে আর প্রসেসর অতুলনীয়
🛒 ফোনটির বর্তমান প্রাইস চেক করুন
- ফোনটিতে 1.5K রেজ্যুলেশনের 6.8inch, FHD+ এর একটি AMOLED Panel ডিসপ্লে আছে। যার Peak Brightness 4500nits। ভাবা যায়! এই প্রাইসে কোন লেভেলের ডিসপ্লে তারা দিচ্ছে। এই ধরনের ডিসপ্লে হাইয়ার মিড রেঞ্জের ফোন যেমন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার ফোনে পাওয়া যায়। মূলত এই কারণেই এটিকে চার নাম্বারে আমরা রেখেছি।
- ডিসপ্লেতে আছে Corning Gorilla Glass 7i এর প্রোটেকশন, ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরসহ। তাছাড়া IP65 এর waterproof rating আছে।
- ফোনটি অনেক স্লিম হওয়া সত্ত্বেও এখানে 6000mAh এর ব্যাটারি আছে। তবে চার্জিং সাপোর্ট করে সর্বোচ্চ 18W। এখানে একটু কমতি মনে হয়েছে।
- আরো অবাক করা ব্যাপার হলো এই মূহুর্তে 4G এর মধ্যে সবার সেরা প্রসেসর তারা এই ফোনে ব্যবহার করেছে, সেটি হলো UNISOC T7300। যা একটি 4nm এর প্রসেসর। এমনকি এই প্রসেসরের তুলনায় MediaTek Helio G200-ও পাত্তা পাবে না। আবার ক্যামেরাতেও এই ফোন বেশ ভালো রেজাল্ট দেয়।
5. Realme C85 Pro - IP 69K এর রেটিং
🛒 ফোনটির বর্তমান প্রাইস চেক করুন
- ফোনটিতে 120Hz এর 6.8-inch এর AMOLED Display আছে। তাছাড়া 4000nits এর Peak brightness থাকায় আউটডোরে ব্যবহারে কোন অসুবিধা হবে না।
- প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Snapdragon 685। যা 6nm এর একটি প্রসেসর। প্রসেসর হিসেবে এটি খুব একটা খারাপ না, তবে একটু পুরাতন। আবার পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালোই আছে।
- আরেকটা জায়গায় আপনি বেশ অবাক হবেন সেটা হলো এর 7000mAh এর বিশাল ব্যাটারি। যাদের লম্বা সময় ব্যাটারি ব্যাকআপ দরকার অর্থাৎ একবার চার্জে যারা দুই দিনের মতো ব্যবহার করতে চান এই দামে Realme C85 Pro সেরা ফোন। সাথে রয়েছে 45W এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট।
- ক্যামেরায় রয়েছে 50MP এর মেইন ক্যামেরা এবং 8MP এর ফ্রন্ট ক্যামেরা। ক্যামেরা কোয়ালিটিও যথেষ্ট ভালো। ব্রাইট লাইটে বেশ ভালোই ফটো দিতে পারে। আর এই ফোনটি কিন্তু NFC সাপোর্টেড।





