iQOO Neo 11 price in Bangladesh; ফুল রিভিউ এবং স্পেসিফিকেশনস
সময়ের সেরা সুযোগ
আর্টিকেল তো পড়বেন। আগে একটা কথা শুনুন! যদি খুবই কম দামে অফারের মাধ্যমে দারাজ থেকে Tech প্রোডাক্ট কিনতে চান, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান। অনেকেই লাভবান হচ্ছে। রেগুলার দামের অর্ধেক দামে পাওয়া যাবে।
যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেiQOO Neo 11 price in BD (Variant) |
Price |
|---|---|
| 12/256 GB | 55000টাকা (Unofficial) |
iQOO Neo 11 ফুল স্পেসিফিকেশনস
Features |
Details |
|---|---|
| Processor | Snapdragon 8 Elite (Octa-core 2×4.32 GHz) |
| GPU | Adreno 830 |
| Battery | 7500 mAh |
| Charging | 100W |
| Display Size | 6.82-inch |
| Display Type | LTPO AMOLED |
| Refresh Rate | 144Hz |
| Resolution | 2K (1440×3168 pixels) |
| Pixel Density | 510 PPI |
| Peak brightness | Unspecified |
| Storage Type | UFS 4.1 |
| Screen Protector | Rock Glass |
| Weight | 216g |
| Body frame | Glass front, Aluminum Alloy frame, fiberglass back |
| Camera | Main Camera: 50MP Ultra-Wide: 8MP Front Camera: 16MP |
| Sound | Stereo speaker |
| NFC | Yes |
| Operating System | Android 16, OriginOS 6 skin |
| 3.5mm Headphone jack | No |
| IR Blaster sensor | Yes |
| Connectivity | 5G WiFi 7 Bluetooth v5.4 |
| Sensors | Light Sensor, Proximity Sensor, Accelerometer, Gyroscope, Compass/Magnetometer |
| Thermal | 8K vapor chamber cooling |
| SIM Cards | Dual Nano-SIM |
| SD Card Support | No |
| Fingerprint Sensor | Ultrasonic, In-display |
| Protection Rating | IP68/69 |
| Video | 8K@30fps |
অফার
ফোনটি দারাজে স্পেশাল অফারে উল্লিখিত প্রাইসের চেয়েও অনেক কমে পাওয়া যাচ্ছে। নিচের ইমেজে ক্লিক করে সব বিস্তারিত দেখে অর্ডার কনফার্ম করতে পারবেন। অফারটি স্বল্প সময়ের জন্য। স্টক অলরেডি sold out। তাড়াতাড়ি করুন।
আসুন এবার iQOO Neo 11 ফুল রিভিউ শুরু করি। প্রথমেই কথা বলা যাক এর পারফরম্যান্স নিয়ে। তারপর পর্যায়ক্রমে ডিজাইন, ডিসপ্লে, ব্যাটারি ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে বলা হবে।
সময়ের সেরা সুযোগ
আর্টিকেল তো পড়বেন। আগে একটা কথা শুনুন! যদি খুবই কম দামে অফারের মাধ্যমে দারাজ থেকে টেক প্রোডাক্ট কিনতে চান, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান। অনেকেই লাভবান হচ্ছে। রেগুলার দামের অর্ধেক দামে পাওয়া যাবে।
যুক্ত হোন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেiQOO Neo 11 এর পারফরম্যান্স
প্রসেসর হিসেবে এখানে আছে Qualcomm Snapdragon 8 Elite। যা এই বছর প্রায় সব ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ছিল। এমনকি এই প্রসেসরটা না দিলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনই হয় না। এর পারফরম্যান্স নিয়ে আর কিছু বলতে হবে বলে মনে করি না। একদমই বেস্ট পারফরম্যান্সটাই পাবেন, অনেকটাই ফ্ল্যাগশিপ কিলার টাইপ পারফর্ম করবে।
স্টোরেজ টাইপ UFS 4.1 এবং LPDDR 5 ultra হলো এর RAM type। বুঝতেই তো পারছেন কোন লেভেলের পারফরম্যান্স ডেলিভার করবে iQOO Neo 11। যাদের এসব স্পেসিফিকেশনস নিয়ে সামান্য জানাশোনা আছে তারা বুঝতে পারবে। আবার এখানে VIVO তাদের Q2 chip দিতেও ভোলে নি।
iQOO Neo 11 এর RAM management ভালো হওয়াতে একসাথে অনেকগুলো অ্যাপ নিয়ে কাজ করা যাবে। 12/16GB ভ্যারিয়েন্টে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে। আমার মনে হয় 12GB ভ্যারিয়েন্টটি যথেষ্ট আপনার জন্য।
iQOO Neo 11 গেমিংয়ে কেমন
Also Read
iQOO Neo 11 এবছর হোক বা আগামী বছর, গেমিংয়ের জন্যও সবাই কিনবে। কারণ প্রসেসর, RAM Management দুইটাই ভালো। 90fps এ পাবজি প্লে করেও কোন ল্যাগ পাওয়া যায় নি। অবশ্য 120fps এও খেলা যাবে। তবে ফোনটা গরম হয়। প্রায় এরকম সব ধরনেরই হাই গ্রাফিক্স গেম এখানে স্মুথলি প্লে করা যাবে। তবে এতকিছুর পরও একটা কমতি আছে।
এখানে যে পোর্টটা রয়েছে তা USB Type 2.0। যাদের আসলে USB'র মাধ্যমে Data Transfer করার প্রয়োজন পড়ে তারা খুব বেশি স্পিডে Data Transfer করতে পারবেন না। এই জায়গায় একটু কম দিয়ে ফেলেছে ডিভাইসটা।
তবে অনেক সময় ধরে গেমিং, video shooting ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফোনটি বেশ ভালোই গরম হয়। বিশেষ করে screen portion এ হিট হয়। ওখানে টেম্পারেচার 42°C পর্যন্ত উঠে। তবে বেশ ভালো ব্যাপার হলো এখানে তারা একটি VC কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করেছে। যেটা খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করতে পারে ফোনটিকে।
ওহ, এটির অপারেটিং সিস্টেম হলো OriginOS 6, Android 16। আনঅফিসিয়ালি বলা যায় এখানে আপনারা তিনটি মেজর আপডেট পাবেন। তবে চাইনিজ ভ্যারিয়েন্টের ফোন হওয়ায় বেশ কিছু ব্লুটওয়্যার এখানে পাবেন। ওসব আনইন্সটল করে নিলে আরো ক্লিন দেখাবে ফোন। তবে অন্যান্য সব চাইনিজ ভ্যারিয়েন্টের ফোনের মতো Notification Delay এখানেও আছে।
iQOO Neo 11 এর ডিজাইন
ছবি তো প্রথমেই দেখেছেন। তাই এত ডিটেইলে যাচ্ছি না। বডি ফ্রেমটা Aluminum Alloy এর মতো মেটালের তৈরি হওয়ায় বেশ প্রিমিয়াম ফিল পাবেন। দুইটি কালার ভ্যারিয়েন্টে এটি লঞ্চ করা হয় যার প্রত্যেকটি আকর্ষণীয়। বেশ ভালোমতোই light reflect করে। তাছাড়া IP68/69 এর রেটিং থাকায় পানিতে ভেজানো যাবে। কোন সমস্যা হবে না।
ফোনটার ডিসপ্লে কোয়ালিটি
এর ডিসপ্লের ব্যাপারে আসলে আপনাদের চমৎকার লাগবে। 144Hz এর একটি LTPO AMOLED Panel। রেগুলার ব্যবহারের জন্য খুবই স্মুথ একটা ডিসপ্লে। আউটডোরে ব্যবহারে ব্রাইটনেস নিয়ে কোন প্রবলেম ফেস করতে হবে না। আবার ওরা এই ডিসপ্লেতে Anti reflecting coating ব্যবহার করেছে যেটা মনে হয় এই প্রাইস রেঞ্জের ফোনে এই প্রথম।
Display Resolution যথেষ্ট ভালো, 2K resolution এর প্যানেল। স্ক্রিনকে প্রোটেক্ট করছে Rock Glass। যদিও একটা গ্লাস প্রোটেক্টর ব্যবহারের পরামর্শ থাকবে। পরিশেষে ডিসপ্লে নিয়ে কোন কমপ্লেন নেই। ডিসপ্লের কালার আউটপুট যথেষ্ট ভালো। মনে হবে সবকিছু যেন জীবন্ত দেখছেন।
iQOO Neo 11 এর ক্যামেরা পারফরম্যান্স
ক্যামেরা তো ভালোই। কিন্তু ওভারঅল ক্যামেরা সেটআপে তেমন কোন changes চোখে পড়ে নি। 50MP এর মেইন ক্যামেরা এবং 8MP এর আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা। 2025 সালে এসে এরকম একটা ফ্ল্যাগশিপ কিলার ফোনে 8MP Ultra-Wide ক্যামেরা একটু হলেও বেমানান লাগে। যদিও দাম অনুযায়ী ঠিক আছে তবুও আরেকটু বেশি আশা করেছিলাম।
তবে সেন্সরের বেলায় পরিবর্তন এসেছে। এখানে মেইন ক্যামেরায় LYT 700B সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। বেশ ভালো রেজাল্ট দিতে পারে এই সেন্সর। যাহোক, সেলফি ক্যামেরায় আছে 16MP এর শ্যুটার। ছবিগুলো সামান্য বুস্ট করে প্রেজেন্ট করে। Saturation, color tone, contrast, details প্রত্যেকটিই মানানসই। শার্পনেস উজ্জ্বল আলোতে বেশ ভালোই ধরে রাখতে পারে।
কোন dedicated Telephoto Lens বা Depth sensor না থাকা সত্ত্বেও আপনারা তিনটা focal length এ portrait মোডের ছবিগুলো তুলতে পারবেন।
ভিডিও রেকর্ডিং
মেইন ক্যামেরা 8K@30fps এর ভিডিও রেকর্ড করতে পারে যদিও এর চেয়ে 4K@60fps এর ভিডিও অনেকটা কাজের হবে বলে মনে হয়। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট স্ট্যাবল ভিডিও রেকর্ড হচ্ছে। তবে জুম করে ছবি তুলতে গেলে খুব একটা ভালো রেজাল্ট দেয় না।
ওভারঅল, ক্যামেরার ব্যাপারে যদি বলি তাহলে আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরাটা একটু কমতি মনে হয়েছে। Telephoto থাকলে আরো ভালো হতো।
ব্যাটারি ব্যাকআপ ও চার্জিং
7500mAh এর ব্যাটারি আছে এখানে। বুঝতেই পারছেন কত বড় ব্যাটারি। অনায়াসেই এক চার্জে দুইদিন পার করতে পারবেন। 100W এর চার্জার পাচ্ছেন। খুব দ্রুতই চার্জ করতে পারবেন। 0-50% চার্জ হতে 26 মিনিটের মতো সময় লাগে। 100% চার্জ করতে 54 মিনিটের মতো লেগেছে।
Stereo speaker আছে, সাউন্ড কোয়ালিটি যথেষ্ট লাউড এবং ক্লিয়ার। তাছাড়া এই ডিভাইসটিতে যুক্ত হয়েছে ultrasonic fingerprint scanner। In-display তে এর পজিশনও ঠিকঠাক আছে। সুপারফাস্ট, হাতে পানি লাগলেও সমস্যা নেই। তাছাড়া 5G, wifi 7 এবং Bluetooth মিলিয়ে কানেক্টিভিটিও একদম লেটেস্ট।
শেষকথা
iQOO Neo 11 এর প্রায় প্রত্যেকটি অংশই খুবই চমৎকার, একদম ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের। কিনতে চাইলে বেস্ট ডিসিশন হবে আপনার জন্য। তবে এতকিছু সত্ত্বেও কিছু কমতি তো আছে। যেমন আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, একটু বেশিই গরম হয় যদিও তা হেভি ইউজের বেলায়।
iQOO Neo 11 FAQs
1. iQOO Neo 11 এর বাংলাদেশে দাম কত?
iQOO Neo 11 এর 12/256GB ভ্যারিয়েন্টের বাংলাদেশে দাম 55000 টাকার আশেপাশে। তবে দাম পরিবর্তনীয়।
2. এই ফোন কি 5G সাপোর্ট করে?
হ্যা, iQOO Neo 11 একটি ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের 5G ফোন।
3. iQOO Neo 11 এর ডিসপ্লে কেমন?
6.82-inch,2K FHD+, LTPO AMOLED ডিসপ্লে যার আবার HDR 10+ এর সাপোর্ট আছে। 144Hz রিফ্রেশ রেট এবং 510 PPi।
4. এর প্রসেসর কেমন?
এই ফোনে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Snapdragon 8 Elite, যেটি চলতি বছরের ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসরগুলোর একটি বলা চলে।
5. iQOO Neo 11 এর ক্যামেরা কেমন?
ফ্রন্ট ক্যামেরা 16MP, মেইন ক্যামেরা 50MP এবং Ultra-wide ক্যামেরা 8MP।
6. ব্যাটারি এবং চার্জিং কেমন?
7500mAh এর ব্যাটারি এবং 100W ফাস্ট চার্জিং। অনায়াসেই মডারেট ইউজার হলে এক চার্জে দুইদিন চলে যাবে।
7. IP Rating কেমন?
এটি লেটেস্ট IP68/69 রেটেড।
8. এর অপারেটিং সিস্টেম কি?
লেটেস্ট Android 16 এ রান করছে এবং OriginOS 6 skin আছে।
9. ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক আছে?
হ্যা, ultrasonic under-display ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক সহ প্রয়োজনীয় সব সেন্সর আছে।

