VIVO X200 Ultra price in Bangladesh; সেরা ক্যামেরা ফোন 2025! ফুল রিভিউ
আপনি আসলে কার সাথে তুলনা করবেন? যে এন্ড্রয়েড ফোন কোম্পানির যত বড় ফ্ল্যাগশিপ ফোনের সাথেই তুলনা করেন না কেন VIVO X200 Ultra সবকিছুতেই এগিয়ে থাকে। সারা বিশ্বব্যাপী এটাই হতে চলেছে সেরা ক্যামেরা ফোন 2025।
তাই আজকে জানবেন VIVO X200 Ultra price in Bangladesh এবং VIVO X200 Ultra ফুল রিভিউ বিশেষ করে VIVO X200 Ultra ক্যামেরা রিভিউ। তাই প্রতি পদে পদে অবাক হতে পুরো আর্টিকেল পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
অন্তত এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনটার সম্মানে হলেও আপনার পুরো আর্টিকেলটি পড়তে হবে। এতটা চমৎকার একটা ফোন লঞ্চ করেছে ভিভো। তবে প্রথমে একনজরে স্পেসিফিকেশনস গুলো দেখে নিন।
VIVO X200 Ultra price in BD (Variant) |
Price |
---|---|
12/256 GB | 1,24,000 টাকা |
12/512 GB | 1,33,000 টাকা |
16/1TB | 1,50,000 টাকা |
Features |
Details |
---|---|
Processor | Snapdragon 8 Elite |
Battery | 6000 mAh |
Charging | 90W 40W wireless charging |
Display Size | 6.82-inch |
Display Type | LTPO AMOLED |
Refresh Rate | 120Hz + 1B colour support |
Resolution | 2K (HDR) |
Pixel Density | 453 PPI |
Peak brightness | 4500 nits |
Storage Type | UFS 4.1 |
Screen Protector | Armor Glass |
Body frame | Rear Panel: Glass built Body Frame: Aluminum built |
Camera | Main Camera: 50MP (OIS, Sony LYT 818 sensor) Ultra-wide: 50MP (OIS, SONY LYT 818 sensor Periscope Telephoto: 200MP (3.7x optical zoom, sensor-Isocell HP9) Front Camera: 50MP |
Sound | Dual Stereo speaker |
NFC | Yes |
Operating System | Android 15, OriginOS 5 4 years major Android update 5 years security update |
3.5mm Headphone jack | No |
IR Blaster sensor | Yes |
Network Support | 4G/5G |
SIM Cards | Nano-SIM |
SD Card Support | No |
Fingerprint Sensor | Under-display (Ultrasonic super fast) |
Protection Rating | IP68/69 |
Video | 8K@30fps |
VIVO X200 Ultra ফোনটার আবার আরেকটা ইউনিটও হয়ে থাকে যেখানে আপনারা খুব বড়সড় একটা জুমলেন্স পেয়ে যাবেন। যেমনটা ছবিতে দেখছেন। প্রথমেই কথা বলা যাক এর ডিজাইন নিয়ে। তবে এক্ষেত্রে প্রাইস অনেকটাই বেড়ে যাবে।
![]() |
ফটোগ্রাফি কিটসহ VIVO X200 Ultra Image Credit: SamZone |
VIVO X200 Ultra এর ডিজাইন এবং বিল্ট ম্যাটেরিয়াল কেমন?
হাতে নিলে একটু Bulky টাইপ ফিল দিবে। ক্যামেরার মডিউলটা ফোনের সমতল থেকে একটু উঁচু। এমনকি এটা দিয়েই আপনি পুরো ফোনটাকে ধরে রাখতে পারবেন। বডিটা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। তবে টাইটানিয়ামের হলে আরো বেটার হতো।
হালের ট্রেন্ড IP68/69 এর রেটিং থাকায় আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফিও করতে পারবেন। সকল প্রয়োজনীয় পোর্টস এবং বাটন এখানে পেয়ে যাবেন। আলাদা করে একটা ক্যামেরা বাটনও আছে আইফোনের মতো। আবার ক্যামেরা বাটনের দিক থেকেও আইফোন থেকে এগিয়ে থাকবে VIVO X200 Ultra কারণ সামান্য চাপ দিলেই হয় আর পজিশনটাও যুতসই।
![]() |
এভাবে পানিতে চুবিয়ে ছবি তুলতে পারবেন Image Credit: SamZone |
রয়েছে আল্ট্রাসনিক সুপার ফাস্ট আন্ডার-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। ঠিক আছে এবার ক্যামেরার ব্যাপারে আসি যেহেতু ক্যামেরা ডিভাইস।
VIVO X200 Ultra এর ক্যামেরা; আলাদা কমপ্যাক্ট ক্যামেরার দিন কি শেষ!
একটু ঝেড়ে কেশে বসি, যেহেতু মূল জিনিসটাতেই হাত দিয়ে দিয়েছি। এই ফোনটি দিয়ে প্রায় ১৭০০ মতো ছবি তোলা হয়েছে শুধু ক্যামেরা টেস্টের জন্য। এই বিশাল অভিজ্ঞতাই এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। রিয়ারে বা পিছনে চারটা ক্যামেরা মনে হলেও আছে তিনটা শুটার।
![]() |
তিনটি শ্যুটার Image Credit: SamZone |
মেইন ক্যামেরা পারফরম্যান্স
ক্যামেরা স্পেসিফিকেশনস তো উপরে দেখেছেনই। তবে VIVO-এর এই সিরিজের অন্যান্য ফোন যেমন X200 বা X200 pro এর সাথে তুলনা করলে VIVO X200 Ultra যে খুব বড় জাম্প দিয়ে ফেলেছে তেমনটা না। কারণ পুরো সিরাজটাই সেরা। ওরা ফটো প্রসেসিংয়ের জন্য দুই দুইটা আলাদা চিপ ব্যবহার করছে, VS1 এবং V3+। একটার কাজ ছবি তোলা এবং অন্যটির ছবি প্রসেসিংয়ের কাজ করা।
![]() |
Image Credit: SamZone |
বোঝাই যায় এখান থেকে বেটার আউটপুট আসবে এটাই স্বাভাবিক। ছবি যথেষ্ট ব্রাইট এবং ডিটেইলের পরিমাণ খুবই ভালো। ছবিগুলো হালকা ভাইব্রেন্ট তবে খুব বেশি স্যাচুরেটেড নয় যেটা অনেকেই পছন্দ করে। মেইন ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলো এখানে স্লাইড আকারে দিয়েছি। একটার পর একটা অ্যারো চিহ্নে ক্লিক করে করে দেখতে থাকেন।
আবার ছবির ডিটেইলস যেমন ভালো ডায়নামিক রেঞ্জও বেশ wider। আবার shadow ইমেজগুলোও সফট হয় না। এবার কথা বলা যাক low light image নিয়ে। তবে লো-লাইট বলে যে হাতে নিয়ে steady হয়ে তুলতে হয় এমন না।
যাস্ট হাতে নিয়ে ক্লিক করে দিলেই হয়। লো লাইটে তোলা VIVO X200 Ultra'র প্রত্যেকটা ছবিই মাথা নষ্ট কালার টোন দিবে। প্রত্যেকটা ছবিতেই মনে হবে নিজের চোখ আর ভিভোর এই ফোনের ক্যামেরার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এরকম কিছু এটা দিয়ে তোলা ইমেজ স্লাইডার আকারে দিয়েছি। অ্যারো সাইনে ক্লিক করে একটা একটা দেখুন।
এবার আসা যাক পোট্রেইট মোডের ছবিগুলোর বেলায়। চারটা ফোকাল লেন্থে আপনি পোর্টেইট মোডের ছবিগুলো তোলতে পারবেন - 35mm, 50mm, 85mm, 135mm।
প্রত্যেকটা লেন্থেই ছবিগুলো যাস্ট ওয়াও। মনে হবে প্রত্যেকটা ছবিই যেন রেখে দিই। কিছুটা AI দিয়ে প্রসেস করা যা দেখতে আরো ভালো লাগে। SAM ভাইয়ের তোলা এই ডিভাইস দিয়ে বিভিন্ন ফোকাল লেন্থের পোর্ট্রেইট ছবি। স্লাইড করে দেখে নেন।
তবে skin tune টা একেবারে ন্যাচেরাল দেয় না যদি আমরা Xiaomi 15 ultra এর সাথে compare করি। Xiaomi 15 ultra এর পোর্টেইট মোডের ছবি আরেকটু ন্যাচারাল। ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লারনেস যথেষ্ট ন্যাচারাল। সারমর্ম হিসেবে একটা কথা বলা যায়, বর্তমান সময়ের যেকোন ডিভাইস যেমন আইফোন, শাওমি ইত্যাদি সবার থেকে পোর্ট্রেইট মোডের ছবি VIVO X200 Ultra বেটার দিতে পারে।
এমনকি রাতে যথেষ্ট কম আলোতেও এই ফোনের ক্যামেরা সিনেমাটিক ছবি দিয়েছে।
আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা কেমন
এবার আসা যাক আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরার বেলায়। মেইন ক্যামেরার মতোই অ্যাকুরেট কালার টোন। Day light এবং low light দুই কন্ডিশনেই যথেষ্ট ডিটেইল ধরে রাখছে। একদমই ফ্ল্যাগশিপ লেভেলে বিট করার মতো ক্যামেরা।
200MP এর টেলিফটো জুম লেন্স! কি করবেন?
এর অর্থ হলো সর্বোচ্চ জুমে আপনি আপনার বাসার ছাদ থেকে শহরের ঐ যে দূরের কোন বিল্ডিংয়ের ছাদে কে কি করছে গোয়েন্দাগিরি করতে পারবেন। প্রশ্ন হলো তখন ইমেজ কোয়ালিটি কেমন হবে। আরে ভাই! তার জন্যই তো 200MP এর ক্যামেরা আর 3.7x অপটিক্যাল জুম। Xiaomi 15 ultra'র চেয়ে VIVO X200 Ultra'র সর্বোচ্চ জুমের ছবি বেটার। নিচের ইমেজেই দেখতে পাচ্ছেন।
সর্বোচ্চ জুমে গিয়ে নারকেলের ছোট ছোট কলিগুলো Xiaomi 15 ultra তে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু VIVO X200 Ultra তে খুবই স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে। এবার আসি শেষ ক্যামেরা অর্থাৎ ফ্রন্ট ক্যামেরা যাকে অনেকেই আপনারা সেলফি ক্যামেরা নামেই জানেন।
VIVO X200 Ultra'র ফ্রন্ট ক্যামেরা কেমন
প্রথমেই বলে রাখি ফ্রন্ট ক্যামেরাটা একটু আর্টিফিশিয়াল। আমার মনে হয় ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বেটার ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনারা পেয়ে যাবেন বিশেষ করে স্যামসাংয়ে। তবে এই ফোনের ফ্রন্ট ক্যামেরাটা আরেকটু বেশি ডিটেইল ধরে রাখতে পারলে এই ক্যামেরাতেও সবার সেরা হতো।
ভিডিও রেকর্ডিং কেমন
VIVO X200 Ultra'য় একদমই সিনেমাটিক মোডে ভিডিও রেকর্ড হয়। আপনার প্রথমে এটাকে স্মার্টফোনের ভিডিও মনে নাও হতে পারে। একদম মনে হবে যেন হাই ক্লাস ব্রডকাস্টিং করছেন। বেশ জোস ভিডিও রেকর্ডিং। এই ফোনটা সর্বোচ্চ 8K@30fps এ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে।
তবে কালারটা হালকা বুস্টেড মনে হবে আর একটু কন্ট্রাস্টি ভাইব দেয়। তবে ভিডিও রেকর্ডিং এর বেলায় আইফোন সেরা বিশেষ করে আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। এই মুহূর্তে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্যামেরার জন্য চারটা ডিভাইস সেরা। চারটিই ফ্ল্যাগশিপ এবং সেগুলো-
- Samsung S25 Ultra
- iphone 16 Pro Max
- VIVO X200 Ultra
- Xiaomi 15 ultra
এই চারোটা ডিভাইস দিয়েই Samzone এর SAM ভাই ছবি তুলে রেখেছে। নিচে চারটাই আমি এক ফ্রেমে দিয়ে দিচ্ছি, স্লাইড করে দেখে নিন। কমেন্টে জানান আপনার ভোট কোন ডিভাইসে দিবেন।
ক্যামেরা নিয়ে কাহিনী অনেক হলো। ক্যামেরা নিয়ে বলতে বলতে এই ফোনটার অন্যান্য স্পেকস ও যে টপ সেটা ভুলে গিয়েছি। আসুন ডিসপ্লে কেমন সেটা দেখি।
VIVO X200 Ultra এর ডিসপ্লে
একটা Quad-Curved ডিসপ্লে যা LTPO AMOLED প্যানেল। 4500nits পিক ব্রাইটনেস থাকায় ইনডোর আউটডোর কোনটাতেই ব্যবহার করতে কোন সমস্যা হবে না। উভয় কন্ডিশনেই দূর্দান্ত রেজাল্ট দিয়েছে। এমনকি ডিরেক্ট সূর্যের আলোতেও খুব স্মুথলি ব্যবহার করতে পারবেন।
ওকে, এই স্ক্রিনটাকে প্রোটেকশন করছে Armor Glass। এটা একদমই নতুন ধরনের প্রোটেকশন গ্লাস। আমরা যে সচরাচর Corning Gorilla Glass দেখি এমন নয়। VIVO'র দাবি অনুযায়ী ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডের গ্লাসগুলোর চাইতেও এটি বেশ শক্তপোক্ত। তবে আপনারা চাইলে একটা গ্লাস প্রোটেক্টর ব্যবহার করতেই পারেন।
ডিসপ্লের কালার রিপ্রোডাকশন খুব ভালো পাবেন। কারণ এটি joyous এর মাস্টার কালার টিউন করা, তাই খুব অ্যাকুরেট। বিশেষ করে যারা মিডিয়া কনজাম্পশন অর্থাৎ খুব বেশি অডিও ভিডিও দেখেন তারা এক অন্য ধরনের ফিল পাবেন। এমনকি Samsung S25 Ultra'র সাথে কম্পেয়ার করলেও VIVO X200 Ultra এগিয়ে থাকবে। স্যামসাংয়ের চেয়ে বেশ ন্যাচারাল।
সারকথা হলো, ক্যামেরার মতো ডিসপ্লেটাও A+ লেভেলের।
সবকিছুই তো ভালো, প্রসেসরের বেলায়?
টাইটেল দেখে কি এটা মনে হয়েছে যে প্রসেসরের বেলায় এবার হয়তো VIVO X200 Ultra পিছাতে পারে? মোটেই না, লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ মডেলের Snapdragon 8 Elite দেওয়া হয়েছে এখানে। আসলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতে কোন কিছুরই কমতি থাকে না। সবকিছু বাদ দিলাম, শুধুমাত্র Snapdragon 8 Elite থাকার কারণে অনেকেই এই ফোনটাকে পছন্দ করবে।
পারফরম্যান্স কি হতে পারে? এটা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই সময়ের সেরা এন্ড্রয়েড প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে এখানে তাই পারফরম্যান্স যে টপ লেভেলের হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার Xiaomi 15 ultra'র চেয়ে এটা হিটও কম জেনারেট করে।
পাবজির মতো ভারি গেম গুলো হাই সেটিংসে খেললেও খুব ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করে এই ফোন। তাছাড়াও স্টোরেজ টাইপ 4.1। অনেক অ্যাপ্লিকেশন একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন RAM management ভালো হওয়াতে। ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব ভালো পরিমাণ অ্যাপ রান করাতে পারে।
VIVO X200 Ultra ক্যামেরা সেন্ট্রিক ডিভাইস। ক্যামেরার জন্যই মানুষজন কিনবে এটা। তবে গেমিংয়ের জন্যও কোন অংশে পিছিয়ে নেই।
VIVO X200 Ultra এর ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন?
6000mAh এর ব্যাটারি এবং 90W এর চার্জার। ফুল চার্জ করতে 47 মিনিটের মতো সময় লাগে। মডারেট ইউজ করলে অনায়াসেই এক দিন পার করতে পারবেন আর হেভি ইউজার হলে হয়তো এক দিনের কাছাকাছি যেতে পারবেন।
তবে চার্জ হওয়ার সময় খুব ভালোমতোই গরম হয় ফোনটা। যেহেতু ফাস্ট চার্জ নেয়।
শেষকথা
এই তো ছিল VIVO X200 Ultra এর ফুল রিভিউ। ক্যামেরার জন্য এমনকি সবকিছুই সেরা পেতে চাইলে এই ফোনটা আপনারা চয়েজ লিস্টে রাখতে পারেন। প্রথম দিকে এই ফোনটার দাম অনেক বেশি ছিল। তবে প্রথমে যেমনটা দেখেছেন ক্যামেরার জন্য এক্সট্রা কিটসহ কিনতে চাইলে এটার মোট দাম প্রায় দুই লাখ টাকার কাছাকাছি পড়তে পারে। যেটা আমার কাছে overkill মনে হয়। তবে শুধু মোবাইলটাই নিলে আমার মনে হয় বাজেট অতটুকু থাকলে এটাই বেস্ট হবে। এতটুকু পড়ে আসলে দয়া করে কমেন্টে কিছু বলুন।
Reviewed by: SamZone