একে তো MediaTek Dimensity 9400+ প্রসেসর! তার ওপর 7410 mAH এর ব্যাটারি! আসলেই ফ্ল্যাগশিপ কিলার জগতে নাম লেখাল Redmi K80 Ultra। চলুন জেনে আসি এবার Redmi K80 Ultra Price in Bangladesh। তবে দাম সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
অনুরোধ থাকবে Redmi K80 Ultra price in Bangladesh জানার পর আরো ইন্টারেস্টিং তথ্য জানতে ফ্ল্যাগশিপ কিলার Redmi K80 Ultra ফুল রিভিউ আর্টিকেলটি পড়ার।
Redmi K80 Ultra price in BD (Variant) |
Price |
12/256 GB |
53,000 টাকা |
Features |
Details |
Processor |
Mediatek Dimensity 9400+ |
Battery |
7410 mAh |
Charging | 100W |
Display Size |
6.83-inch |
Display Type |
OLED |
Refresh Rate |
144Hz |
Resolution |
HDR 10+ |
Pixel Density |
447 PPI |
Peak brightness |
3200 nits |
Storage Type |
UFS 4.1 |
Screen Protector |
Unspecified |
Body frame |
Rear Panel: Glass built Body Frame: Aluminum built |
Camera |
Main Camera: 50MP Ultra-Wide: 8MP Front Camera: 20MP
|
Sound |
Dual Stereo speaker |
NFC |
Yes |
Operating System |
Android 15, HyperOS 2 |
3.5mm Headphone jack |
No |
IR Blaster sensor |
Yes |
Network Support |
5G |
SIM Cards |
Nano-SIM |
SD Card Support |
No |
Fingerprint Sensor |
Under-display |
Protection Rating |
IP68 |
Video |
8K@30fps
|
Redmi K80 Ultra; কোন দিকটা বেশি চমৎকার!
ফোনটার একটু ওজন বেশি, 219 গ্রাম ওজনের ফোন। তবে হাতে নিলে প্রিমিয়াম ফিল দিবে। আসলেই মনে হবে একটা হাই প্রাইসের ফোন ধরে আছি। IP68 এর রেটিং আছে অর্থাৎ টুকটাক পানি লাগলেও অসুবিধা নেই।
ডিসপ্লে কেমন
সবচেয়ে ভালো লাগবে এর ডিসপ্লে সেকশনটা। টপ সেন্টারের Punch Hole cutter-টা অনেক ছোট। 144Hz এর OLED প্যানেল, যার আবার HDR 10+ এর সাপোর্ট আছে। ডিসপ্লের চারদিকের lower chin, upper chin এবং bezel area খুবই ন্যারো। অর্থাৎ একদমই ফ্ল্যাগশিপ কিলার ফোনগুলোর মতোই প্রিমিয়াম ফিল দেয়।
Wide-টাইপের একটা ডিসপ্লে, অনেকটা আইফোনের মতো vibe দেয়। ডিসপ্লের কালার রিপ্রোডাকশন যথেষ্ট ভালো, একটা immersive view দেয়। 3200nits পিক ব্রাইটনেস থাকার ইনডোরে তো ভালোভাবেই দেখবেন, আবার আউটডোরে সরাসরি sunlight -এ ব্যবহারেও সমস্যা হবে না।
যথেষ্ট টাচ রেসপন্সিভ ডিসপ্লে। Redmi K80 Ultra প্রাইস ইন বাংলাদেশ অনুযায়ী ঠিকঠাক আছে। তবে নোটিফিকেশনটা সাথে সাথে না এসে সামান্য ডিলে করে আসে। আবার অনেক ব্লুটওয়্যার আছে, এগুলো আনইন্সটল করে নিবেন। ক্লিন ভাইব পাওয়া যাবে তাতে। অ্যাপ ওপেন এবং ক্লোজিং টাইম যথেষ্ট ফাস্টার।
Redmi K80 Ultra-র পারফরম্যান্স কেমন
আসলে রেডমির যেকোন ডিভাইসেরই RAM Management যথেষ্ট ভালো। দৈনন্দিন ব্যবহারে এই ফোনটা মোটেও হিট জেনারেট করে না। আর গেমিংয়ের সময় খেলতে খেলতে হঠাৎ করে ফোন গরম হয়ে ক্র্যাশ করে না। আর UI এর ব্যাপারে আসলে, MIUI এর তুলনায় মনে হয় HyperOS বেটার রেজাল্ট দেয়।
আর দৈনন্দিন ব্যবহারের সময় অনেকগুলো অ্যাপ একসাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখেই কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ মাল্টিটাস্কিংয়ে খুব ভালো রেজাল্ট দিবে। স্টোরেজ টাইপ 4.1 হওয়াতে ডাটা ট্রান্সফারের সময় অনেক স্পিড পাবেন।
আবার Redmi K80 Ultra-য় অনেক বড় একটা কুলিং সিস্টেম ওরা ব্যবহার করছে। আসলে এটি একটি vapour chamber cooling system, যার কারণে ফোন অনেক বেশি গরম হয়ে গেলেও ভারি অ্যাপ ব্যবহারের কারণে খুব দ্রুতই ঠান্ডা হয়ে যায়।
গেমিং করা যাবে?
আমার মনে হয় এই ফোনটা কিনলেও গেমিং এর জন্যই কিনবেন। যেমন Genshin Impact এর মতো গেম লকড অবস্থায় হাই গ্রাফিক্সে 60fps এ খেলতে পারবেন। ফ্রেম রেট ধরে রাখতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে গেমিংয়ের পরেও এটা তেমন একটা হিট হয় নি। যেমন চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ মিনিট Genshin Impact প্লে করে 41°C পর্যন্ত হিট হয়েছে।
তবে মেটাল বডির ফোন হওয়ায় কেস ছাড়া খেলতে গেলে হাতে বেশ ভালোই ফিল পাবেন। কোনো মাইক্রোস্যাটার বা লেগের দেখা পাওয়া যায় নি।
পাবজি একদম HDR Extreme এ খেলেও স্ট্যাবল রেজাল্ট ধরে রাখতে পারছে Redmi K80 Ultra। তবে মাঝে মাঝে ফ্রেম রেট ফ্ল্যাকচুয়েট করতে দেখা যাচ্ছিল। তবে এটা চোখে পড়ার মতো না।
এর পাশাপাশি আরো গেম এখানে প্লে করে দেখি। প্রত্যেকটা গেম এরই গেমিং এক্সপেরিয়েন্স ভালো। তবে এই সিমিলার এক্সপেরিয়েন্স দিবে এমন ফোন আপনারা এর চেয়েও কিছুটা কম দামে পেয়ে যাবেন। যেমন শাওমির এই Redmi K80 Ultra আপনাকে কিনতে হবে তেপ্পান্ন হাজারের মতো টাকায়। প্রায় পঞ্চাশ হাজারেই এর মতো পারফর্ম করে এরকম অনেক ফোনই পেয়ে যাবেন।
Redmi K80 Ultra এর ক্যামেরা কেমন
রিয়ারে দুইটা শুটার পাবেন। একটা 50MP এর মেইন ক্যামেরা এবং আরেকটি 8MP এর আল্ট্রাওয়াইড। ফ্রন্ট ক্যামেরা 20MP এর। ক্যামেরা সেটআপ দেখেই হয়তো বুঝে ফেলেছেন এটা একটা পারফরম্যান্স সেন্ট্রিক ডিভাইস। ক্যামেরায় তেমন ফোকাস করা হয় নি।
ক্যামেরা পারফরম্যান্সের বেলায় শাওমির স্বাভাবিক টোনটাই এখানে দেখবেন। অর্থাৎ ছবি নিউট্রাল করে প্রেজেন্ট করে। রিয়েলমির মতো কালারফুল করে না। অনেকটাই ন্যাচারাল ছবি দেয়। তবে ডিটেইলের পরিমাণ কম মনে হবে ছবিতে।
তবে Exposure balance ভালোই করছে। ডায়নামিক রেঞ্জ হ্যান্ডলের ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে পড়ে। তবে এই প্রাইসে আরো অন্যান্য ব্র্যান্ডের বেটার ক্যামেরাওয়ালা ফোন আপনারা পেয়ে যাবেন। আবার এখানে টেলিফটো নেই। তবে পোট্রেইট মোডের ছবিগুলো ভালো আসে। আবার আল্ট্রা-ওয়াইড অন্যান্য সব as usual ফোনের মতোই।
সর্বোপরি Redmi K80 Ultra ফোনটির ক্যামেরা নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়া যায় নি। আবার 8K@30fps এ ভিডিও রেকর্ড করা যায়। যদিও এটা কোন কাজের মনে হয় নি। এর চেয়ে 4K@60fps এর ভিডিও ফরমেটটা বেটার।
ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন!
স্পেসিফিকেশনে দেখতেই পেলেন 7410mAh এর ব্যাটারি আর 100W এর চার্জার। নরমাল ইউজারের ক্ষেত্রে প্রায় দুই দিন চলে যাবে। আর যদি একটু হেভি ইউজার হয়ে থাকেন অর্থাৎ গেমিং বা এ জাতীয় ভারি অ্যাপ্লিকেশন গুলো ব্যবহার করলে একদিন যাওয়ার পরেও 20 থেকে 30% চার্জ থেকে যাবে। আবার বাইপাস চার্জিংও সাপোর্ট করে।
তবে আরেকটি কমতির জায়গা আছে এখানে, তা হলো Redmi K80 Ultra ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করে না। এটা কোন কথা! এই প্রাইসের একটা ফোনে অবশ্যই এই টেকনোলজি দেওয়ার কথা। আবার এখানে কোন Telephoto Lens নেই।