কি দেখে ফ্রিজ কিনবেন? ফ্রিজ কেনার আগে করণীয় ৮টি বিষয়

বাংলাদেশে যে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে সে ঘরে ফ্রিজও আছে। তবে ফ্রিজ কেনার আগে কতগুলো বিষয় চেক না করে কিনে আমরা ঠকে যায়। অনেক সময় দেখা যায় ওয়ারেন্টি ১০ বছর থাকলেও চার পাচ বছরের পর ফ্রিজ আর টেকে না। আজকের এই আর্টিকেলে ফ্রিজ কেনার আগে করণীয় ০৮ টি বিষয় সম্পর্কে বলব যেগুলো মেনে চললে ফ্রিজ কেনার পর কখনো ঠকবেন না।

যা দেখে ফ্রিজ কিনবেন

তবে তার আগে আপনার কাছে অনুরোধ যদি ফ্রিজ কেনার আগে সতর্কতামূলক মন মানসিকতা অর্থাৎ ফ্রিজ কেনার পর যদি ঠকতে না চান তাহলে পুরো আর্টিকেল ধৈর্যের সাথে পড়ার অনুরোধ রইল। অত্যন্ত সাবলীলভাবে এবং সহজ ভাষায় ফ্রিজ কেনার আগে করণীয় এবং খুঁটিনাটি কি কি দেখে ফ্রিজ কিনবেন প্রত্যেকটা বিষয় বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

১. ফ্রিজের গ্যাস যাচাই করুন

প্রথমেই যে বিষয়টার দিকে দেখবেন সেটা হলো আপনার কিনতে যাওয়া ফ্রিজে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্রিজে কিন্তু তিন ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হলো : R - 12, R 134a, R 600a।

তিন ধরনের গ্যাস

এই তিনটা গ্যাসের মধ্যে সবচেয়ে বেটার হচ্ছে R 600a। কারণ এই গ্যাসটা অন্য দুটো গ্যাসের তুলনায় তুলনামূলক হালকা এবং পরিবেশবান্ধব। যার কারণে তুলনামূলক তাড়াতাড়ি মুভ করতে পারে এবং ফ্রিজটাও তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। 

আবার এই গ্যাসের হিটিং ইস্যুও অনেক কম। অর্থাৎ ফ্রিজ খুব বেশি গরম হবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো R 600a গ্যাসের ফ্রিজ কিনলে ইলেকট্রিসিটি বিলও কম আসবে।

ফ্রিজের কম্প্রেসার ট্যাংক

তাই প্রথমেই দোকানদার থেকে জিজ্ঞেস করে নিবেন কোন গ্যাস দেওয়া হয়েছে। অথবা আপনি ফ্রিজের মডেল নাম্বারটা দিয়ে গুগলে সার্চ করে জেনে নিবেন। 

তাহলে প্রথমেই আপনি জেনে নিবেন গ্যাসের বিষয়টি। যদি R 600a গ্যাসটি ব্যবহার করা হয় তাহলে ফ্রিজটি আপনি পছন্দের লিস্টে এগিয়ে রাখবেন।

২. ফ্রিজ কম্প্রেসর কিসের তৈরি দেখুন

সবাই নিশ্চয়ই কম্প্রেসর চেনেন। ফ্রিজের পেছনে নিচে কালো রঙের বক্স আকৃতি যে জিনিসটা থাকে সেটা হলো কম্প্রেসর। উপরের ছবিতে যেটা দেখছেন আর কি। বলা যায় ফ্রিজের মূল জিনিস হলো ঐটাই। ফ্রিজের কম্প্রেসার মেশিনটার ভিতরে একটা কয়েল থাকে। ঠিক নিচের ছবিতে যেমন দেখছেন।

লাল কালার হচ্ছে কপার কয়েল, আর সাদাটা অ্যালুমিনিয়াম কয়েল

কয়েলটা অ্যালুমিনিয়াম বা তামার তৈরি হয়ে থাকে। এখন বিষয় হলো অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি হলে কখনোই নিবেন না। নেওয়ার আগে কয়েলটা তামার কিনা দেখবেন। কারণ অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় কপার বা তামার স্থায়িত্ব অনেক বেশি। একটা অ্যালুমিনিয়ামের কয়েল এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ফেটে যেতে পারে কিন্তু একটা তামার কয়েল দশ থেকে বারো বছর স্থায়ী হয়।

এখন প্রশ্ন হলো আপনি কম্প্রেসরের ভিতরে বুঝবেন কিভাবে যে কোন কয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। এটার জন্য আগের সেই ফর্মুলা। সিম্পলি ফ্রিজের মডেল নাম্বার গুগলে সার্চ দিবেন। তারপর একে একে স্পেসিফিকেশনগুলো পড়বেন। সেখানে যদি কপার কয়েল দেখতে পান তাহলে কিনবেন, অন্যথায় কেনার কোনো দরকার নেই।

৩. কনডেন্সার পাইপ চেক

ধরা যাক কম্প্রেসর কয়েল কপারের তৈরি পেলেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো কম্প্রেসার থেকে যে পাইপ দিয়ে বাতাস গিয়ে ফ্রিজ ঠান্ডা হবে সেই পাইপটাও কিন্তু কপারের হওয়া চাই। ধরুন দেখা গেল কনডেন্সার পাইপ তারা দিয়েছে স্টিলের। সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বেটার সার্ভিস পাবেন না।
আকাশি কালারের বর্ডার অংশটি কনডেন্সার পাইপ যেটা কম্প্রেসারের উপরে থাকে

কারণ কপারের পাইপ হলে খুব দ্রুত ফ্রিজটা ঠান্ডা হয় এবং ইলেকট্রিসিটি বিলও কম আসে। আবার কপারের পাইপের স্থায়িত্বও বেশি, মরিচা পড়ে না এবং খুব সহজে লিকেজ হয় না। লিকেজ হলেও খুব সহজেই সারিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু স্টিলের ক্ষেত্রে এসব সুবিধাগুলো পাবেন না। সেজন্য ফ্রিজ কেনার আগে কনডেন্সার পাইপও কপারের কিনা দেখে কিনলে আরো একধাপ এগিয়ে গেলেন।

৪. ফ্রিজের ইনডোর প্লাস্টিক কেমন?

ফ্রিজের দরজা বা তা'কে, এরকম অন্যান্য জায়গায় যে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে সেটা Food grade plastic কিনা দেখুন। ফুড গ্রেড প্লাস্টিক না হলে যা হয়, আপনি যখন ফ্রিজটা চালু রাখবেন এক ধরনের গন্ধ বেরিয়ে খাবারের সাথে মিশে যাবে। আপনি বুঝতেও পারবেন না কোত্থেকে গন্ধটা আসছে।

খাবারের স্বাদ তো পাবেনই না আবার এই স্বস্তা প্লাস্টিকের গন্ধ বারবার নাকে লাগবে। যদি প্লাস্টিকটা ফুড গ্রেডের হয় তাহলে এই প্রবলেমটা হবে না।

চেক করার জন্য ফ্রিজের ভেতরের দিকে তাকাবেন। ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হলে সেখানে একটা স্টিকার লাগানো থাকবে। নিচে আমি সকল ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের স্টিকার দিচ্ছি।

সবুজ চিহ্নগুলো ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের প্রতীক

যদি এরকম না হয় বা যদি দেখেন স্বস্তা প্লাস্টিক ইউজ করা হয়েছে তাহলে কিনবেন না। সাধারণত আমরা চাইনিজ ব্র্যান্ডের যে ফ্রিজগুলো কিনে থাকি সেখানে এমন স্বস্তা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় দাম কমানোর জন্য। তবে দাম কিন্তু খুব বেশি কমে না। সর্বোচ্চ দুই তিন হাজার টাকা কমে।

সেটার জন্য এসব ফ্রিজ কিনলে সারাজীবন দূর্গন্ধযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। দুই তিউ হাজার টাকার জন্য সারা জীবন ভুগবেন। সেজন্য ভালো ফুড গ্রেড প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে দেখে কিনবেন।

৫. ফ্রিজ সিলেকশন; ফ্রস্ট vs নন-ফ্রস্ট

এই জায়গায় এসে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান যে কোন ধরনের ফ্রিজ কিনবেন। ফ্রস্ট নাকি নন-ফ্রস্ট! এবার এই দুই টাইপের ফ্রিজ কোনগুলো আপনাদের একটু ক্লিয়ার করে দেই।

ফ্রস্টেড ফ্রিজ কোনগুলো? যেগুলোতে খাবারে বরফ জমে। মাছ মাংসে দেখবেন বরফ জমে যায়। সব জায়গায় বরফ জমে। অনেক সময় টান দিলে খোলা যায় না। অনেক সময় দেখা গেল আপনি ফ্রিজ খুললেন কিন্তু মাছ মাংসের বরফ ছাড়াইতে অনেক সময় লেগে গেল। সেক্ষেত্রে একটু সমস্যা।

নন-ফ্রস্টেড ফ্রিজ কোনগুলো? যেগুলোতে খাবারে খুব ঘনভাবে বরফ জমে না। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো আপনি তৎক্ষণাৎ ফ্রিজ থেকে বের করে খাবার রান্না করে ফেলতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অসুবিধাও আছে। যেমন আপনার বাড়ি যদি গ্রামাঞ্চলে হয় তাহলে সেখানে ঘনঘন ইলেকট্রিসিটি চলে যায়। এবং ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে অনেকক্ষণ পর আসে।

ফ্রস্টেড : নন-ফ্রস্টেড

ফ্রস্টেড ফ্রিজে খাবারের গায়ে বরফ জমে থাকার কারণে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর চার পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত নিশ্চিন্তে খাবার ভালো থাকবে। অন্যদিকে নন-ফ্রস্টেডে আপনি সেই সুবিধাটা পাচ্ছেন না। নন-ফ্রস্টেডে দেখা যাবে ইলেকট্রিসিটি যাওয়ার এক দেড় ঘন্টা পরেই সব পচতে শুরু করবে।

এখন ফ্রস্টেড ফ্রিজ কারা কিনবেন? তারা কিনবেন যাদের বাড়ি গ্রামে। লোডশেডিং হয় এবং বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে খুব তাড়াতাড়ি আসে না। যাতে করে দীর্ঘ সময় যাবৎ খাবার ভালো থাকে।

আর নন-ফ্রস্টেড হলো যারা শহরে থাকেন যেখানে ইলেকট্রিসিটি তেমন একটা যায় না এবং গেলেও খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে তারা কিনবেন। এক্ষেত্রে দোকানদার থেকে জিজ্ঞেস করবেন ফ্রিজ ফ্রস্টেড না নন-ফ্রস্টেড।

৬. Inverter vs Non-Inverter; কোন ধরনের ফ্রিজ কিনবেন?

এখন এই দুই ধরনেরও ফ্রিজ পাওয়া যায়; Inverter এবং Non-Inverter। Inverter ফ্রিজগুলো সাশ্রয়ী হয় বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে। Non-Inverter এ খুব বেশি সাশ্রয় হয় না। তবে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় আপনার কখন প্রয়োজন? যখন বিদ্যুৎ যায় না, অর্থাৎ শহরে। সেজন্য শহরে যারা থাকেন তারা একই সাথে নন-ফ্রস্টেড এবং ইনভার্টার ফ্রিজ কিনবেন।

আর গ্রামে যারা থাকেন তারা ফ্রস্টেড এবং নন-ইনভার্টার ফ্রিজ কিনবেন। কারণ গ্রামে লোডশেডিং বেশি আর এমনিতেও যেহেতু বিদ্যুৎ থাকে না। আর গ্রামে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিলও কম তাই তেমন সাশ্রয়ের প্রয়োজন পড়ে না।

৭. ফ্রিজ কেনায় চেম্বার সিলেকশন করুন

একটা ফ্রিজের নরমালি দুইটা চেম্বার থাকে। একটি ডিপ এবং অন্যটি নরমাল। অনেক সময় Deep উপরের অংশে এবং Normal নিচে থাকে। এর উল্টাটাও হতে পারে। এখন কোনটা দেখে কিনবেন?

আমি সহজ সলিউশন দিয়ে দিই। আপনি সাধারণত Deep-এ কি রাখবেন। মাছ, মাংস ইত্যাদি ভারি খাবারই তো। যেগুলোর গায়ে বরফ জমে ভারি হয়ে যাবে এবং আপনার কষ্ট করে অনেক সময় ডিপের দরজাটা খুলতে হবে। এক্ষেত্রে ডিপ যদি উপরে থাকে তাহলে গায়েয় জোরে আপনাকে দরজা খুলতে গিয়ে এমনো হতে পারে ফ্রিজটা গায়ের উপর পড়তে পারে।

সেজন্য Deep অংশটা নিচে আছে এমন ফ্রিজ দেখে কিনবেন। আর নরমালে যেহেতু ভারি খাবার রাখবেন না তাই সেটা উপরে থাকলেও সমস্যা নেই। এবার আসুন শেষ বিষয়টা নিয়ে কথা বলি যেটা সবার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ডিপে ডেস্ক চেম্বার কিনবেন নাকি তাকওয়ালা নিবেন?

ফ্রিজের ডিপ অংশ এখন দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা হলো তাক'ওয়ালা এবং অন্যটি ড্রয়ার সিস্টেম। আমার রিকমেন্ডেশন হলো আপনারা অবশ্যই ড্রয়ার সিস্টেম ডিপ চেম্বারটা কিনবেন।
উপরে তাক ওয়ালা এবং নিচেরটা ড্রয়ার সিস্টেম
কারণ তাক ওয়ালা জালির মতো চেম্বারটাতে মাছ মাংস রাখলে একটার গন্ধ অন্যটাতে ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু ড্রয়ার সিস্টেম কিনলে আপনি সবকিছু আলাদাভাবে রাখতে পারবেন। আবার কোন‌ নির্দিষ্ট ড্রয়ারের খাবার আপনার নরমাল করার প্রয়োজন হলে ঐ নির্দিষ্ট ড্রয়ারটি আলাদাভাবে বের করে বাইরে রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে পুরো ফ্রিজটি বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।

৮. After Sale Service + Warranty 

কেনার পর একটা ফ্রিজ বাসায় নিয়ে আসলেন। কিন্তু দেখা গেল কিছুদিন পর কোন কারণে ফ্রিজটায় সমস্যা দেখা দিল। তখন কোম্পানি ফ্রিজটা সার্ভিসিং করিয়ে ঠিক করে দিচ্ছে কিনা বা তারা কেমন আন্তরিকতা দেখায় সেটা খুবই বিবেচ্য।

ধরুন আপনি LG বা SAMSUNG এর একটা ফ্রিজ কিনলেন। যেহেতু ফ্রিজ একটি ইলেকট্রনিক জিনিস তাই যত নামিদামি ব্র্যান্ড হোক না কেন সমস্যা হতেই পারে। এক্ষেত্রে ঐ সংশ্লিষ্ট কোম্পানী থেকে আপনাকে হোম সার্ভিস দিচ্ছে কিনা সেটা বিবেচ্য বিষয়। এখানে হোম সার্ভিস বলতে সার্ভিস ম্যান আপনার সাথে ফোন করে ঠিকানা অনুযায়ী বাসায় আসবে।

এক্ষেত্রে আমি আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি। আমি তখন গ্রামে থাকতাম। আমার বাসায় একটা Walton ফ্রিজ কিনি চল্লিশ হাজার টাকায়। কিন্তু আমার ফ্রিজের স্ট্যাবিলাইজার ডিস্টার্ব দিতে শুরু করে। তখন ওদের হেল্পলাইনে ফোন করলে Walton কোম্পানি থেকে সার্ভিসম্যান আমার গ্রামের বাসায় চলে আসে।

সেজন্য নিজে অনলাইন ঘেটে হোক বা আশেপাশের মানুষ থেকে জিজ্ঞেস করে কোন কোম্পানির ফ্রিজের After Sale সার্ভিস ভালো তা জেনে নিবেন।

বোনাস টিপস 💡 

এরকমও করতে পারেন যে ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নিতে চান সে ব্রান্ডের নাম লিখে Daraz এ সার্চ করবেন। তারপর নিচের কাস্টমার রিভিউগুলো পড়বেন। রিভিউগুলো পজিটিভ মনে হলে সেই ব্র্যান্ডটা তুলনামূলক ভালো আর কি।

অর্থাৎ নামি দামি ব্র্যান্ডের After Sale Service ও ভালো এবং এদের ফ্রিজে 5 বছর, দশ বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বেশি ওয়ারেন্টিওয়ালা ফ্রিজ দেখে কিনবেন।

সতর্কতা 🚨

আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছু অখ্যাত ব্র্যান্ড তাদের ফ্রিজে 30 বছরের ওয়ারেন্টিও দিয়ে রাখে। এদের ফাঁদে পড়বেন না। কারণ দেখা যাবে কয়েক বছর পর ওদের কোম্পানিটাই আর নেই। ব্র্যান্ডও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

 Stabilizer এর দরকার আছে?

ফ্রিজ কেনার পর দেখবেন দোকানদার আপনাকে বড়সড় একটা স্ট্যাবিলাইজার ধরিয়ে দিয়েছে। আপনি যদি শহরাঞ্চলে থাকেন যেখানে ইলেকট্রিসিটি খুব একটা যায় না, তাহলে স্ট্যাবিলাইজারের খুব একটা প্রয়োজন নেই। আবার গ্রামে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন হয় না কারণ অনেক ফ্রিজেই এখন Built-in Stabilization দেওয়া থাকে। তাই এক্সট্রা করে স্ট্যাবিলাইজারের কোন দরকার নেই।

শেষকথা

এতটুকু পর্যন্ত পড়ে আসলে ধন্যবাদ। এই ছিল ফ্রিজ কেনার আগে করণীয় ৮ টি বিষয় যা দেখে ফ্রিজ কিনলে আপনি কখনোই ঠকবেন না। আপনার আর্টিকেলটি পড়ে কেমন লেগেছে কমেন্ট বক্সে জানান এবং আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্টে বলুন। রিপ্লাই দেওয়া হবে।

Source: AFR Technology

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url